নির্বাচন দেরিতে হলে ষড়যন্ত্র হবে মন্তব্য করে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্যে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ‘কীসের আলামত শুরু হলো, কীসের ইঙ্গিত শুরু হলো? কেন বিলম্ব, কেন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না?’ শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর সেনবাগে অমর একুশে উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার আগে এক সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
জয়নুল আবদিন ফারুক উল্লেখ করেন– গত ১৬ বছরে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী যারা আত্মাহুতি দিয়েছে। জুলাই-আগস্টে যারা জীবন উৎসর্গ করেছে। তাদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘কারও কান কথা নয়, যারা বাংলাদেশকে কোনোকালে স্বীকৃতি দেয়নি, যারা ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস, ২৬ মার্চের স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে তাদের কোনোদিন দেখা যায়নি। আজকে আবার তারা ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে অন্তর্বর্তী সরকারকে দোষারোপ করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
ফারুক বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতার জন্য নির্বাচন নয়; বিএনপি এমন নির্বাচন চায় যেখানে মৃত ব্যক্তিরা ভোট দেবে না। যেখানে হাসিনার মতো ১৫৪ জন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচন নয়। তাই তারেক রহমান এমন নির্বাচন চান, যে নির্বাচন দিনের ভোট রাতে নয়। যে নির্বাচন ২০২৪ সাল ভাইয়ে–ভাইয়ে নির্বাচন করেছেন। তাই তারেক রহমান বলেছেন, বিলম্বিত নয়– বিলম্ব হলেই ষড়যন্ত্র হবে।’
বিএনপি চেয়ারপারসনের এই উপদেষ্টা বলেন, ‘কিছু কিছু দল বলতে শুরু করেছে আগে সংস্কার, আগে ইউনিয়নের নির্বাচন– এসব টালবাহানা বিএনপি মানে না। দ্রুত নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। আগে কিন্তু জাতীয় সংসদের নির্বাচন। পার্লামেন্ট সদস্যরাই ঠিক করবে সংস্কার কতটুকু হবে। আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে কোনোভাবেই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন করবেন না। যদি করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা তা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করবে।’
সমাবেশে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘আমি ছাত্র, শ্রমিক, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, বিএনপির নেতাকর্মীদের অনুরোধ করব কষ্ট করছেন আর কয়দিন কষ্ট করেন। খেলা আবার নতুন করে শুরু হতে পারে। সেই খেলার জন্য আপনারা প্রস্তুতি নেন। সেই খেলায় ইনশাল্লাহ অতীতে যেমন শহীদ জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা করে বাংলাদেশসহ বিশ্বের দরবারে অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে বাংলাদেশে আপোষহীন নেতৃত্ব পেয়েছেন। আবার আমার নেতা তারেক রহমান দশ হাজার কিলোমিটার দূরে থেকে আপনাদের মতো এতা বৃহৎ সংগঠনকে নেতৃত্ব দিয়ে যে সুযোগ আজকে সৃস্টি করে দিয়েছেন, সেই সুযোগটা হলো জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তারেক রহমানই হবেন ইনশাল্লাহ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’