Thursday, May 1, 2025

যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে মুজিব ও জিয়াকে নিয়ে শিবির সভাপতির অভিযোগ

আরও পড়ুন

যুদ্ধাপরাধের বিচার ও ১৯৭১ সালের গণহত্যা ইস্যুতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সম্প্রতি এক বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় সংঘটিত যুদ্ধাপরাধের দায় শুধুমাত্র একটি বিশেষ গোষ্ঠীর ওপর চাপানো হচ্ছে, যা ইতিহাস বিকৃতির শামিল।

এক আলোচনায় শিবির সভাপতি বলেন, “১৯৭১ সালে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা টিক্কা খান ও জুলফিকার আলী ভুট্টোর প্রত্যক্ষ মদদেই বাংলাদেশে গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে চিহ্নিত ১৯৫ জন পাকিস্তানি যুদ্ধাপরাধীর মুক্তির জন্য যদি কাউকে দায়ী করতে হয়, তাহলে সেটার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই দায়ী হবেন। তার মরণোত্তর বিচার হওয়া উচিত।”

আরও পড়ুনঃ  আওয়ামী লীগের দুই মন্ত্রীর জামিন, কী ভাবছে রাজনৈতিক দলগুলো

তিনি আরও বলেন, “ছাত্রশিবিরের জন্ম ১৯৭৭ সালে। অথচ ১৯৭১ সালের দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হয়। একইভাবে, জিয়াউর রহমান স্বাধীনতাবিরোধীদের পুনর্বাসন করেছেন বলে তার দিকেও আঙুল তোলা হয়। কিন্তু বাস্তবতা হলো, জিয়াউর রহমান দেশে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির ধারা তৈরি করেছিলেন।”

শিবির সভাপতি অভিযোগ করেন, “যারা গণহত্যার দায় পাকিস্তানের পরিবর্তে বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর চাপিয়ে দিতে চায়, তারা মূলত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দালাল হিসেবে কাজ করছে।”

আরও পড়ুনঃ  আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন : রিজভী

তার এ বক্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ নেতারা একে ‘যুদ্ধাপরাধীদের দায় লঘু করার অপচেষ্টা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন, অন্যদিকে বিএনপি এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

এ বিষয়ে ইতিহাসবিদদের অভিমত জানতে চাইলে তারা বলেন, “১৯৭১ সালের গণহত্যার দায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর, তবে পরবর্তী সময়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কারণে বাধাগ্রস্ত হয়েছে।”

এই মন্তব্যের ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে, যা আগামী দিনগুলোতে আরও আলোচিত হতে পারে।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ