Thursday, May 1, 2025

৭ বছর আগে বর্ধিত সভায় খালেদা জিয়ার ভবিষ্যতবাণী সত্যি হবার পথে

আরও পড়ুন

২০১৬ সালে কাউন্সিলের পর এটি প্রথম বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা। এর আগে জাতীয় নির্বাহী কমিটির সভা হয়েছিল ২০১২ সালের শুরুর দিকে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার প্রতিবেদন পাঠ করেন। দলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণ করে আনা হয় সুপ্রস্তাব। দলের প্রধান খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বলেন, ‘‘নিজেদের সুবিধার জন্য সংবিধান সংশোধন করেছে সরকার, যাতে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। সরকার বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার জন্য ছক কাটছে’’—এমন অভিযোগ করেন খালেদা জিয়া।

তিনি আরও বলেন, ‘‘তারা তো বিএনপিকে মাইনাস করতে চায়, যাতে তারা আবার ক্ষমতায় আসতে পারে। সেজন্য বিএনপির কিন্তু কোনো ভয় নেই। বিএনপির সঙ্গে এ দেশের জনগণ আছে, এ দেশের প্রশাসন আছে, এ দেশের পুলিশ বাহিনী আছে, এ দেশের স্বাস্থ্য বাহিনী আছে, এ দেশের সাধারণ মানুষ আছে।’’

আরও পড়ুনঃ  রাতে নিষিদ্ধ, ভোরে ঝটিকা মিছিল ছাত্রলীগের

জিয়া অরফান্স ট্রাস্ট মামলার কোনো ভিত্তি নেই, তাই এই মামলায় কোনো সাজা হতে পারে না বলে মনে করেন তিনি। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, ‘‘মিথ্যা মামলায় আমাকে সাজা দেওয়ার প্রচেষ্টায় লিপ্ত সরকার।’’

খালেদা জিয়া বলেন, ‘‘বিচারটা কোথায়? কীসের বিচার করবে? অপরাধ নেই তো বিচার হবে কী করে? কেন অপরাধের উপরে বিচারটা হবে? তারপরেও তারা গায়ের জোরে বিচার করতে চায়, গায়ের জোরে কথা বলতে চায়।’’

আরও পড়ুনঃ  খালেদা জিয়ার আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা

অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সংসদ ভেঙে দেওয়া সহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘‘ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে যে, নির্বাচনটা কীভাবে তারা এককভাবে পার হবে। সেই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। আমরা বলতে চাই, ইভিএম, ডিভিএম এগুলো কিছু চলবে না। জনগণ ভোট দেবে। সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। আমরা সেটা চাই, এটা আমাদের দাবি। পার্লামেন্টকে ভাঙতে হবে।’’

দলের বিপদ একসাথে মোকাবেলা করতেই নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন খালেদা জিয়া। দুঃসময়ে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘‘সবাইকে বলছি, সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। বহু সন্ত্রাস হবে, ষড়যন্ত্র হবে, নানা রকমভাবে হয়রানি করবার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা ভয় পেয়েছি এমন কিছু নয়। আপনারা অনেকে মনে করেন, আমি তো ভিতরে থাকলে খবর পাই না, আমি খবর রেখেছি এবং সেভাবেই আমরা কিন্তু কাজগুলো করছি। যারা বেঈমানি করেনি দলের সঙ্গে, তাদেরকে আমরা অবস্থান দেবো, ভালো ভালো জায়গায়। সকলে বিপদ আসলে সকলে একসঙ্গে বিপদ মোকাবেলা করব। আমি যেখানেই থাকি না কেন, আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, ইনশাআল্লাহ।’’

আরও পড়ুনঃ  কোটা আন্দোলন সরকারবিরোধীরূপ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে : কাদের

ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়, তাই হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রতিহিংসা রাজনীতি করবে না।’’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ