Friday, March 14, 2025

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ভরসা, ভারত তাদের জন্য কিছু করবে

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে যখন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন বাতিল করার দাবি জোরালো হচ্ছে তখন দলটির অনেক নেতাকর্মী ভারত কিছু একটা করবে সেই অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের প্রত্যাশায় ভারত এমন কিছু করবে যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াবে।

জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছেড়ে ভারত পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর দলটির অনেক নেতাকর্মীও ভারতে আত্মগোপনে রয়েছেন।

দেশে ও দেশের বাইরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের কর্মী-সমর্থকরা প্রত্যাশা করছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারত যে ভূমিকা নিয়েছে এরপর তারা একটি চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

নাম-পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের একাধিক রাজনৈতিক কর্মী বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, বিশেষ করে সনাতন সম্প্রদায়ের বাড়িঘর-মন্দিরে যেসব হামলা হয়েছে সেটি ভারত ভালো চোখে দেখছে না এবং ভারত তাদের স্বার্থেই এ পরিস্থিতিতে কিছু একটা উদ্যোগ নেবে বলে ‘আভাস’ পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপিতে যোগ দিলেন জাতীয় পার্টির ২ শতাধিক নেতাকর্মী

দেশে অবস্থানরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মধ্যমসারির একজন নেতা বলেন, ভারত এরই মধ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সেটা হতে পারে বাংলাদেশের ব্যাপারে আন্তর্জাতিকভাবে চাপ বাড়ানো হবে। এছাড়া বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহায়তার ক্ষেত্রেও ভারত ভূমিকা রাখতে পারে।

এ বিষয়ে কথা বলছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাশেদা রওনক খান। তিনি বলেন, রাজনীতিতে ফেরার ক্ষেত্রে ভারতের সাহায্যের বিষয়টি ‘আওয়ামী লীগ পুরোদমে বিশ্বাস করে’।

তবে আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম. বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, বৃহৎ গণতান্ত্রিক এবং প্রতিবেশী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত কী অবস্থান নেবে সেটার গুরুত্ব রয়েছে। তার ভাষায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক, সাংগঠনিক ও আদর্শিক কার্যক্রম বন্ধ করা সহজ নয়।

আরও পড়ুনঃ  বিএনপিতে পালাবদল

এদিকে ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশিদের জন্য পর্যটন ভিসা বন্ধ রয়েছে। মেডিকেল ভিসাও ছয় মাসে খুব নগণ্য সংখ্যক দেয়া হয়েছে।

ভারতের ওপি জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত বাংলাদেশ নিয়ে গবেষণা করেন। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের এই বিশ্লেষক বলেন, ভারত চায় একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে কাজ করতে।

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না কোনো সার্বভৌম দেশ কোনোভাবে যতই সে পারস্পারিকভাবে ঘনিষ্ঠ হোক অন্য কাউকে আউটসোর্স করে দেবে। যেটা একটা ধারণার কথা উঠেছিল মাঝখানে। আমরা আশা করছি ইলেকশন হবে, পরিস্থিতি আবার স্থিতিশীল হবে এবং নরম্যালসি চলে আসবে।’

আরও পড়ুনঃ  চিহ্নিত মাদক কারবারি’ রেজাউল এখন শ্রমিক দলের সভাপতি

ভারতের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতা রয়েছে বলেও উল্লেখ করে শ্রীরাধা দত্ত বলেন, বাংলাদেশে নির্বাচিত সরকার যেই আসুক তার সঙ্গে ভারত কাজ করবে।

তবে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিয়েই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন হোক সেটা হয়তো দিল্লির প্রত্যাশা থাকবে বলে যোগ করেন মিজ দত্ত।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ