বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে নিহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টাফ আব্দুল্লাহ আল আবিরের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সোমবার (১২ আগস্ট) বরিশাল শহরের গোড়াচাঁদ দাশ রোডের বাসায় খোঁজখবর নিতে যায় জামায়াত নেতারা।
অ্যাড. হেলাল বলেন, আব্দুল্লাহ আল আবিরের মতো সাহসী ছেলেরা বুক পেতে গুলির সামনে দাঁড়ানোর কারণেই জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা স্বৈরাচার হাসিনা সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছে। এ জাতি এই সাহসী সন্তানদের চিরদিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, আমিরে জামায়াতের নির্দেশনা মোতাবেক আমরা প্রতিটা শহীদ পরিবারে যাচ্ছি খোঁজখবর নিচ্ছি এবং সাধ্যমতো সহযোগিতা করছি। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন যাতে আমরা এই কাজ অব্যাহত রাখতে পারি। আমরা এই আন্দোলনে নিহত আমাদের সাহসী সন্তানদের জন্য দোয়া করি মহান আল্লাহ তাদের শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। এই শহীদ পরিবারগুলোর পাশে জামায়াতে ইসলামী সব সময় থাকবে, ইনশাআল্লাহ্।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি অ্যাড. মুয়াযয়ম হোসাইন হেলাল, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও বরিশাল মহানগর আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, কোতোয়ালি উত্তর থানা আমির অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন, কোতোয়ালি উত্তর থানা সেক্রেটারি হাফেজ জাবের হাসান, জামায়াত নেতা শামীম কবির, অধ্যাপক জাহাঙ্গীর কবির, সৈয়দ মোহাব্বত উল্লাহ মাহেদ, মোকসেদুর রহমান, মাসুম বিল্লাহ, অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হাসান দোলন প্রমুখ।
উল্লেখ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপোর্ট স্টাফ আবদুল্লাহ আল আবির কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছিলেন। ১৯ জুলাই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দিনভর সংঘর্ষ চলে। সন্ধ্যায় গুলিতে পেটের ভেতরটা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তার। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে অস্ত্রোপচারে ১১ ব্যাগ রক্ত দিয়েও বাঁচানো যায়নি তাকে। পর দিন ২০ জুলাই সকালে হাসপাতালে মারা যান আবদুল্লাহ। ২১ জুলাই রাতে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচর ক্ষুদ্রকাঠি গ্রামে জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হয়।