ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের পেহেলগামে গতকাল ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হন। দেশটির বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, হামলাকারীরা পরিচয় জেনে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে।
আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) স্বল্প-পরিচিত কাশ্মিরভিত্তিক সশস্ত্র গোষ্ঠী দ্য রেসিসটেন্স ফোর্স (টিআরএফ) হামলার দায় স্বীকার করে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেয়। এরপর সন্ধ্যার দিকে নতুন একটি বিবৃতি দিয়েছে তারা। এতে গোষ্ঠীটি বলেছে, “যাদের টার্গেট করা হয়েছে তারা সাধারণ কোনো পর্যটক নয়। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ ও সংশ্লিষ্টতা ছিল। তারা ছিল গোপন সংস্থার সদস্য। পর্যটকের ছদ্মবেশে অনুসন্ধান চালানোর জন্য এখানে এসেছিল।”
ভয়াবহ এ হামলার দায় শিকার করা গোষ্ঠীটি কাশ্মিরে নিজেদের কার্যক্রম আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছে।
এই হামলা ভারত সরকারের জন্য একটি সতর্কবার্তা বলেও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে টিআরএফ। গোষ্ঠীটি বলেছে, “এটি শুধুমাত্র নয়াদিল্লির জন্য একটি সতর্কবার্তা নয়। এটি তাদের জন্যও সতর্কবার্তা যারা নয়াদিল্লির প্রশ্নবিদ্ধ নীতিকে সমর্থন করে।”
ভারত সরকার এখন পর্যন্ত টিআরএফের দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
টিআরএফ এমন দাবি করলেও, গতকাল ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, যারা হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তারা সাধারণ পর্যটক ছিলেন। এরমধ্যে ব্যবসায়ী, নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তার বিষয়টি বেশ আলোচিত হয়েছে। লেফটেনেন্ট পদমর্যাদার এ কর্মকর্তা গত ১৬ এপ্রিল বিয়ে করেন। এরপর নববিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে তিনি কাশ্মিরে ঘুরতে গিয়েছিলেন। এছাড়া নিহত এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার স্ত্রী ও শিশু সন্তানও ছিল।
টিআরএফের এ হামলায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের মধ্যে কোনো নারী অথবা শিশু নেই। এছাড়া একজন বাদে সবাই কাশ্মিরের বাইরের। শুধুমাত্র কাশ্মিরের স্থানীয় যিনি প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি সেখানে ঘোড়ার ওপর মানুষ চড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
সূত্র: আলজাজিরা