ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বড় ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত তাহাউর হুসেন রানাকে ভারতে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ওয়াশিংটন সম্মতি দিয়েছে। ২৬/১১ হামলার এই মূল অভিযুক্ত বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একটি উচ্চ-নিরাপত্তা সম্বলিত কারাগারে বন্দি। দীর্ঘদিন ধরে ভারত তার প্রত্যর্পণ চেয়ে আসছিল।
এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা এক ভয়ংকর অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দিচ্ছি, যিনি মুম্বাই হামলার অন্যতম অভিযুক্ত।’
২০২৫ সালের ২১ জানুয়ারি মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট তাহাউর রানার পর্যালোচনা আবেদন খারিজ করে দেয়, যা তার প্রত্যর্পণের পথকে সহজ করে দেয়। এরপর মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানায়, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এবং প্রযোজ্য মার্কিন আইনের আলোকে, আমরা এখন পরবর্তী পদক্ষেপ মূল্যায়ন করছি।’ খবর এনডিটিভির।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে আসছি যাতে মুম্বাই সন্ত্রাসী হামলার অপরাধীরা ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হয়।’
যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘মুম্বাই হামলার এক অপরাধীকে ভারতের হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে, যাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও বিচারের আওতায় আনা যায়। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এই প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ধন্যবাদ জানাই।‘
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী তাহাউর হুসেন রানা ২৬/১১ মুম্বাই হামলায় জড়িত ছিলেন এবং হামলার সময় তিনি পাকিস্তানের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও তাদের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। রানার অন্যতম সহযোগী ছিলেন ডেভিড কোলম্যান হেডলি, যিনি পরবর্তীতে দোষ স্বীকার করে রানার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন।
তাহাউর রানার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখার অভিযোগও রয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের ৪০০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে বলা হয়েছে, তাহাউর রানা ২০০৮ সালের ১১ নভেম্বর ভারতে আসেন এবং ২১ নভেম্বর পর্যন্ত এখানে অবস্থান করেন। তিনি মুম্বাইয়ের পওয়াই এলাকার রেনেসাঁ হোটেলে দুই দিন ছিলেন। মুম্বাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ তদন্তে দেখেছে যে, ডেভিড হেডলি ও তাহাউর রানার মধ্যে একাধিক ইমেইল যোগাযোগ হয়েছিল।