Thursday, March 13, 2025

হেডম থাকলে দেশে আসেন, গোলাম রাব্বানীকে হাসনাত

আরও পড়ুন

চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির দায়ে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ থেকে সরিয়ে দেয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
নিষিদ্ধ ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদককে দেশে আসার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাতে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের অংশ হিসেবে দলটির নেতাকর্মীদের বিচার চেয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেন হাসনাত। ওই পোস্টে নিষিদ্ধ সংগঠনটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাসনাতদের বিচার করার জরুরি বলে কমেন্ট করেন।

কমেন্টে গোলাম রাব্বানী লিখেন, ‘মেটিকুলাসলি ডিজাইনড ষড়যন্ত্রের অবিচ্ছেদী অংশ হিসেবে দেশকে পাকি বীর্যের উত্তরাধিকারদের হাতে তুলে দিয়ে চরম অরাজকতা, নিরাপত্তাহীনতায় ঠেলে দেয়ার জন্য সবার আগে তোমাদের বিচার করা জরুরি।’

জবাবে হাসনাত লিখেন, ‘গোলাম রাব্বানী দেশে আসেন। দেশে এসে বিচার করেন। হেডম থাকলে আসেন।’

আরও পড়ুনঃ  ১০ মিনিটে এমপি আজিমের লাশ টুকরো করে ভরা হয় চার ট্রলি ব্যাগে

হাসনাতের জবাবের নিচে ১ হাজারের বেশি রিঅ্যাক্ট পড়েছে। আর মূল পোস্টে রিঅ্যাক্ট পড়েছে ২৮ হাজারের বেশি। হাসনাত ও রাব্বানীর কমেন্টের নিচে তাদের অনুসারীরা ১৬৭টির বেশি কমেন্ট করেন।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করে দ্রুত নেতাকর্মীদের বিচার চাইলেন হাসনাত

হাসনাত তার মূল পোস্টে লিখেন, ‘রন্ধ্রে রন্ধ্রে সুশীলতা দিনশেষে আমাদের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপ্লব পরবর্তী সময়ে সিরিয়ায় যে পরিস্থিতিতে মাত্র তিন দিনেই আসাদ সরকারের ৩৫ জন কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে ঠিক সেই পরিস্থিতিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থান সফল হওয়ার পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার ঘনিষ্ঠ এবং ফ্যাসিবাদের মদদদাতা একজন নেতাকর্মীরও বিচার হয়নি। বর্তমান সরকারের এ ধরনের দয়াপরবশ হয়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিচার করতে স্বেচ্ছায় বিলম্ব করা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে অপমানের শামিল।’

আরও পড়ুনঃ  অসুস্থ বাবরের শরীরের সবশেষ অবস্থার খবর জানা গেল

‘অথচ, ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বিপ্লবীদের হত্যাযজ্ঞে নেমে পড়তো। নির্বিচারে গুম, খুন ও আরেকটি গণহত্যা করতে তারা তখন বিন্দুমাত্র পিছপা হতো না। গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শত শত মানুষের গলায় পড়তো ফাঁসির দড়ি, ক্রসফায়ারে মারা পড়তো অগণিত ফ্যাসিবাদ বিরোধী মানুষ, আয়নাঘরের অন্ধকারে ঠাঁই হতো হাজার হাজার ছাত্র-জনতার। সারা দেশে তখন নেমে আসতো নিরপরাধ জনমানুষের শোকের কালছায়া ‘ যোগ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এই নেতা।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের হরতাল-অবরোধের ঘোষণা, কড়া বার্তা দিলেন প্রেস সচিব

তিনি আরও লিখেন, ‘ঠিক এ কারণেই আওয়ামী লীগের প্রতি আমাদের এখনকার আচরণ ঠিক তেমন হওয়া উচিত যেমন আচরণ ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থান সফল না হলে আওয়ামী লীগ আমাদের সঙ্গে করতো। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তাদের সকল নেতা-কর্মীর বিচার দ্রুতগতিতে কার্যকর করা এবং প্রশাসন থেকে শুরু করে দেশের সর্বস্তরে বিরাজ করা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিজম কায়েমের সফট এনাবলারদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। অন্যথায়, এই জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আমাদের সব শহীদের আত্মদান ও হাজারো আহত সহযোদ্ধার রক্ত বিসর্জন বৃথায় পর্যবসিত হবে।’

আরও পড়ুনঃ  লুৎফুজ্জামান বাবর কবে মুক্তি পাচ্ছেন, জানাল পরিবার

অন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে হাসনাত লিখেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি ন্যূনতম দয়া নেই। সুতরাং অতিদ্রুত দলটির নেতাকর্মীদের বিচার দৃশ্যমান করুন, কার্যকর করুন।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ