Friday, March 14, 2025

ইসরাইলি হামলায় গাজার ৮৮০ মসজিদ ধ্বংস

আরও পড়ুন

ফিলিস্তিনের গাজায় সাম্প্রতিক সংঘাতে ৮৮০টিরও বেশি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে। যার মধ্যে অনেক প্রাচীন ও ঐতিহাসিক মসজিদ রয়েছে বলে জানা যায়। দ্যা মুসলিম ফাইভ হানড্রেডের সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে এ হিসেব ওঠে এসেছে। প্রতিবেদনে গাজার ৮৮০ মসজিদের বিশাল বড় লিস্ট দেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থানীয়দের গণনায় ৮৮০ মসজিদের নাম আসে। যে মসজিদগুলো ইসরাইলি হামলায় মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তারমধ্যে গাজার আল-ওমরি মসজিদ, যা মমলুক যুগের একটি স্থাপনা, ইসরায়েলি বিমান হামলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল-ঘারবি মসজিদ গাজা শহরে অবস্থিত, এটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে গেছে। আল-কাতিবা মসজিদ, যা একটি বিশাল ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল, তা বিমান হামলার কারণে আশপাশের আবাসন এলাকা ও স্থাপনায় ব্যাপক ক্ষতি করেছে, ধ্বংস করে দিয়েছে। আল-সৌসি মসজিদও হামলার শিকার হয়েছে। এতে মূল নামাজের কক্ষসহ আশপাশের অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল-আমিন মুহাম্মদ মসজিদে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মিনার ও নামাজের জায়গা ধসে পড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  হঠাৎ ইরান সফরে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধি দল

এছাড়াও আহমেদ-ইয়াসিন মসজিদ ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেইসঙ্গে ইমাম শাফেয়ি মসজিদও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাফাহ এলাকার আল-নূর মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এতে নামাজের কক্ষ ও অন্যান্য ধর্মীয় স্থাপনা মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আল-খলিফা মসজিদেও বিমান হামলার কারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। আল-ফারুক মসজিদ খান ইউনিসে অবস্থিত একটি প্রধান মসজিদ ছিল। মসজিদটির কোনো চিহ্নই এখন নাই। আল-তাকওয়া মসজিদ বেইত লাহিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল। সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  বৌভাতের দিন নববধূকে ফিল্মি কায়দায় ‘অপহরণ’, অতঃপর...

আল-আবরার মসজিদ ও আল-আব্বাস মসজিদও মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল-কাসসাম মসজিদে শেলিংয়ের ফলে প্রার্থনা কক্ষের ছাদ ধসে পড়েছে। আল-মাসউদিয়া মসজিদে শেলিংয়ের কারণে নামাজের অংশ ধ্বংস হয়েছে। মসজিদের প্রধান মিনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গাজার এ মসজিদগুলোর ধ্বংস ও ক্ষতি সেখানে ধর্মীয় স্থাপনার প্রতি লক্ষ্যবস্তু আক্রমণের স্পষ্ট প্রমাণ। যুদ্ধের কারণে এ অঞ্চলে বসবাসকারী সাধারণ মানুষের জন্য কোনো মসজিদ খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রায় সব মসজিদই ধ্বংস হয়ে গেছে। আজ তাদের জীবন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। সব মিলিয়ে ৮৮০টি মসজিদ মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে অবৈধ দখলদার ইসরাইল।

আরও পড়ুনঃ  পূজা-অর্চনা নয়, দেবতাকে ধুমপান করিয়ে তুষ্ট করতে পারলেই পূরণ হবে মনবাসনা!

এদিকে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস বলেছে, গাজার উত্তরের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে গত ১৯ দিনে ইসরাইলের ধারাবাহিক হামলায় অন্তত ৭৭০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময় এক হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।

গাজার মিডিয়া অফিসের এক বিবৃতিতে জানা যায়, ইসরাইলি দখলদার বাহিনী নারীসহ দুই শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে ‘অপহরণ’ করেছে। এছাড়া আরও বেশকিছু মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।

গাজায় এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি হামলায় ৪২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আর আহত হয়েছেন এক লাখেরও বেশি। এছাড়া ইসরাইলি হামলায় ধ্বংস হওয়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

আপনার মতামত লিখুনঃ

সর্বশেষ সংবাদ